নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড উদালিয়া গ্রামের মিয়াজান চৌধুরী বাড়িতে ৭ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণকারী আসামী জাহাঙ্গীর (৪৫)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী ধর্ষিতা ভিকটিম ৭ বছরের শিশু কন্যা এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ২য় শ্রেণীর ছাত্রী।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১২ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে তাদের বাড়ির সামনে লবন বিক্রেতা আসলে ভিকটিমের মা তার শিশু কন্যাকে নিয়ে লবন বিক্রেতার কাছে লবন কিনতে যায় এবং ১০ কেজি লবন ক্রয় করে।
একই বাড়ির ভিকটিমের মায়ের চাচা শ্বশুর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রী তাকে বলে রেখেছিলেন লবন বিক্রেতা আসলে তাকে জানানোর জন্য। ভিকটিমের মা তার চাচী শ্বাশুড়ীকে ডাকতে তার শিশু কন্যাকে পাঠায়। ভিকটিম শিশু জাহাঙ্গীর এর বাড়িতে আসলে ঘরের মধ্যে কোন লোক না থাকায় ধর্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর ভিকটিমকে বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে রান্নাঘরে নিয়ে যায় এবং শিশু কন্যা ভিকটিম এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের মা তার শিশু কন্যাকে কোথাও খুজে না পেয়ে ডাকাডাকি করতে থাকলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ধর্ষক জাহাঙ্গীর এর রান্নাঘর হতে ভিকটিম শিশু কন্যা কান্নাকাটি করতে করতে বের হয় এবং তার মাকে উপরোক্ত ঘটনা বর্ণনা করে। ভিকটিমের বাবা তার অসুস্থ্য মেয়েকে চিকিৎসার জন্য হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ওসিসি) তে প্রেরণ করেন এবং বর্তমানে ভিকটিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৩ তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২২ ইং ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ১৩ এপ্রিল সাড়ে ১১টার দিকে আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম(৪৫), পিতা-আমির আহম্মদ, সাং- উদালিয়া, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম’কে তার বসতঘর হতে আটক করে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে উল্লেখিত ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।